আজকাল আমরা আমাদের চারদিকে প্রযুক্তির এত ব্যবহার দেখছি যে তাতে বিস্মিত না হয়ে চলেই না। কিন্তু তাই বলে এই প্রযুক্তির সাহায্যে মানুষের নানা অনুভুতির নিয়ন্ত্রণ? তাও আবার হেলাফেলা করার মতো কোনো অনুভূতি নয়; বরঞ্চ ভালোবাসা আর যৌনতার মতো অনুভুতির নিয়ন্ত্রণ কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সাহায্যে? এরকম হয়তো কেউ আগে কখনো চিন্তাই করেনি। তবে আর প্রায় দেড় যুগ পর সম্ভবত এরকম প্রযুক্তিই আসতে যাচ্ছে আমাদের কাছে!
তথ্য-প্রযুক্তির উন্নতি বর্তমান সময়ে এমন হারে হচ্ছে যা হয়তো আগে খুব কম মানুষই কল্পনা করতে পেরেছিলো। এরই উপর ভিত্তি করে ফিউচারোলজিস্ট ইয়ান পিয়ারসন বলেছেন, সামনে এমন প্রযুক্তি আসতে যাচ্ছে যখন আমরা আমাদের ত্বকে এমন ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবো যা কিনা যৌনমিলনের সময় শরীরের বিভিন্ন স্নায়ুর সংকেতকে ধারণ করে রাখতে পারবে। আর পরে প্রয়োজনমত শুধু সেই যন্ত্রের সাহায্যেই (সঙ্গীর সাহায্য ছাড়াই!) আবারো সেই অনুভুতির পুনরাবৃত্তি করা সম্ভব!
এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পিয়ারসন বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ সেন্সর এমন উন্নত হবে যার ফলে এদের দ্বারা নানা রকম উদ্দীপনাকে খুব সহজেই নির্ণয় এবং ম্যাপিং করা সম্ভব হবে। ফলে কৃত্তিমভাবে কারো সাথে হ্যান্ডশেক করা, কোলাকুলি করা এমনকি ভালোবাসার মতো অনুভূতিগুলোও তৈরি করা সম্ভব হবে।
কিভাবে এটি সম্ভব হবে? খুব সহজভাবে বলতে গেলে, বাস্তবজীবনে নানা অনুভুতির মুখোমুখি হওয়ার সময় আমাদের স্নায়ুগুলো যে ধরণের তাপ, চাপ এবং গতির সম্মুখীন হয় এই ধরণের যন্ত্রগুলো দিয়ে আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে ঠিক সেভাবেই উত্তেজিত করা হবে। ফলে তারা হয়ে উঠবে একে অপরের বিকল্প। আর এই যন্ত্রগুলো সবচেয়ে কাজে লাগবে তাদের জন্য যাদের ইতোমধ্যেই সঙ্গীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে কিংবা যারা এখনো মনের মানুষটিকেই খুঁজে পাননি।
শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতের উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় মানুষের মস্তিষ্কে কেবল ছোট্ট একটি চিপ বসিয়েই তাকে নানা ধরণের অনুভূতি দেবার ব্যাপারে আশাবাদী পিয়ারসন। এ ব্যাপারে মজা করতে গিয়ে তিনি বলেছেম- “সামনে হয়তো অর্গাজমের জন্য আমাদের ctrl shift O বাটনগুলো চাপলেই হবে”।
কিন্তু তিনি এই সতর্কবাণীও উচ্চারণ করেছেন যে, আমরা যদি এই যন্ত্রের উপর অভ্যস্ত হয়ে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ আর আনন্দের মাঝেই যোগসূত্র হারিয়ে ফেলি তবে ধীরে ধীরে হয়তো আমরা ভালোবাসার প্রকৃত অর্থটিও ভুলে যেতে পারি।
এখন আসলেই দেখার বিষয়, ভবিষ্যতে কি আমরা পার্কে দু’জন মানব-মানবীকে ভাব আদান-প্রদানরত অবস্থায় দেখবো নাকি কেবল একজন মানুষকে দেখবো যে কি না একটি যন্ত্র নিয়ে চুপ করে বসে আছে আর আপন মনে চোখ বন্ধ করে কথা বলে যাচ্ছে...
সুত্রঃ-
তথ্য-প্রযুক্তির উন্নতি বর্তমান সময়ে এমন হারে হচ্ছে যা হয়তো আগে খুব কম মানুষই কল্পনা করতে পেরেছিলো। এরই উপর ভিত্তি করে ফিউচারোলজিস্ট ইয়ান পিয়ারসন বলেছেন, সামনে এমন প্রযুক্তি আসতে যাচ্ছে যখন আমরা আমাদের ত্বকে এমন ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবো যা কিনা যৌনমিলনের সময় শরীরের বিভিন্ন স্নায়ুর সংকেতকে ধারণ করে রাখতে পারবে। আর পরে প্রয়োজনমত শুধু সেই যন্ত্রের সাহায্যেই (সঙ্গীর সাহায্য ছাড়াই!) আবারো সেই অনুভুতির পুনরাবৃত্তি করা সম্ভব!
এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পিয়ারসন বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ সেন্সর এমন উন্নত হবে যার ফলে এদের দ্বারা নানা রকম উদ্দীপনাকে খুব সহজেই নির্ণয় এবং ম্যাপিং করা সম্ভব হবে। ফলে কৃত্তিমভাবে কারো সাথে হ্যান্ডশেক করা, কোলাকুলি করা এমনকি ভালোবাসার মতো অনুভূতিগুলোও তৈরি করা সম্ভব হবে।
কিভাবে এটি সম্ভব হবে? খুব সহজভাবে বলতে গেলে, বাস্তবজীবনে নানা অনুভুতির মুখোমুখি হওয়ার সময় আমাদের স্নায়ুগুলো যে ধরণের তাপ, চাপ এবং গতির সম্মুখীন হয় এই ধরণের যন্ত্রগুলো দিয়ে আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে ঠিক সেভাবেই উত্তেজিত করা হবে। ফলে তারা হয়ে উঠবে একে অপরের বিকল্প। আর এই যন্ত্রগুলো সবচেয়ে কাজে লাগবে তাদের জন্য যাদের ইতোমধ্যেই সঙ্গীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে কিংবা যারা এখনো মনের মানুষটিকেই খুঁজে পাননি।
শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতের উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় মানুষের মস্তিষ্কে কেবল ছোট্ট একটি চিপ বসিয়েই তাকে নানা ধরণের অনুভূতি দেবার ব্যাপারে আশাবাদী পিয়ারসন। এ ব্যাপারে মজা করতে গিয়ে তিনি বলেছেম- “সামনে হয়তো অর্গাজমের জন্য আমাদের ctrl shift O বাটনগুলো চাপলেই হবে”।
কিন্তু তিনি এই সতর্কবাণীও উচ্চারণ করেছেন যে, আমরা যদি এই যন্ত্রের উপর অভ্যস্ত হয়ে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ আর আনন্দের মাঝেই যোগসূত্র হারিয়ে ফেলি তবে ধীরে ধীরে হয়তো আমরা ভালোবাসার প্রকৃত অর্থটিও ভুলে যেতে পারি।
এখন আসলেই দেখার বিষয়, ভবিষ্যতে কি আমরা পার্কে দু’জন মানব-মানবীকে ভাব আদান-প্রদানরত অবস্থায় দেখবো নাকি কেবল একজন মানুষকে দেখবো যে কি না একটি যন্ত্র নিয়ে চুপ করে বসে আছে আর আপন মনে চোখ বন্ধ করে কথা বলে যাচ্ছে...
সুত্রঃ-
0 comments:
Post a Comment