কয়েক বছর আগে, গবেষকরা কীভাবে কুকুররা লেজ নাড়ায় তার মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য আবিষ্কার করেন। যখন একটি কুকুর ইতিবাচক কিছু দেখে, যেমন তার মালিককে, এটি এর লেজ আরও বেশি ডান দিকে নাড়াতে থাকে। লেজটি বাম দিকে নাড়াতে থাকে যখন কোন নেতিবাচক কিছু দেখে, যেমন অপরিচিত প্রভাবশালী কুকুর।
এখন, একই ইতালিয়ান গবেষকরা প্রতিবেদনে বলেন অন্যান্য কুকুরাও এই পার্থক্যে সাড়া দেয় এবং এটি তাদের আচরণকে প্রতিফলিত করে এমনকি তাদের হৃদস্পন্দনকেও। বিশেষজ্ঞদের মতে লেজ নাড়ানোর পার্থক্য অনুধাবন করা যায় একটি পদ্ধতিতে তা হলো অন্য কুকুররা তার উপর কী পরিমাণে সাড়া দেয়। ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভান ম্যাকলিন বলেন, “এইটা খুবই রোমাঞ্চকর যে তারা এতে সতর্ক হয়। তিনি বলেন, “মানুষ এর জন্য এইটা দেখা খুব কঠিন। বর্তমান জীববিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশ করা হয়।
এই গবেষণা পত্রের একজন লেখক, ইতালির ট্রেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের জর্জিও ভ্যালরটিগারা বলেন, “কুকুরটি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি বার্তা পাঠায় না। এর পরিপ্রেক্ষিতে লেজ নাড়ানোর ধরন নির্ভর করে মানসিক বিভিন্ন ইঙ্গিতের উপর যা তার মস্তিষ্কে চলতে থাকে।
পরীক্ষা করার জন্য জনাব ভ্যালরটিগারা এবং সহকারী লেখক একটি কুকর বা তার ছায়ার ভিডিও ব্যবহার করেন, যেখানে অধিকাংশক্ষেত্রে এটি একদিকে বা অন্যদিকে লেজ নাড়াচ্ছে বা নাড়াচ্ছেইনা। তারা এই ভিডিওতে রটয়াইলাস, বিগেলস, বক্সেরস, বর্ডার কলিস, জার্মান শেফার্ডস, মঙ্গার্লতি প্রজাতি সহ ৪৩ টি কুকুরকে দেখান। যখন ভিডিওতে একটা কুকুর তার লেজ বামদিকে বেশী নাড়ায়, তখন সে খারাপ কিছুর ইঙ্গিত দেয়। তখন যে কুকুরটি ভিডিওটি দেখছে তার হার্টবিট তখন দ্রুত হতে থাকে, তখন এটি অন্যভাবে লেজ নাড়ায় বা একদমই নাড়ায় না। তাদের ব্যবহার অনেক সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছুরও ইঙ্গিত দেয়।
আলেকজান্ড্রা হরোউইটজ, নিউইয়র্কের বার্নাড কলেজে কুকুরদের মানসিক ক্ষমতা নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, “দুটি কুকুরের মাঝে লেজ নাড়ানোর পার্থক্য সম্ভবত তাদের মাঝে প্রাথমিক কোন কিছুর চিহ্ন নাও হতে পারে, বরঞ্চ এটা হয়ত তাদের মাঝে ক্ষুদ্রত্তর কোন ভুমিকা রাখে।"
0 comments:
Post a Comment