Breaking News
Loading...
Tuesday 12 November 2013

প্রেমিক কিভাবে প্রেমিকাকে কোলে নিয়ে হাঁটতে পারে?

12:12
একটা হিউমার টাইপ উদাহরণ মনে পড়ছে। বাংলা সিনেমায় সাধারণ একটা পেয়ারা পারার জন্য হুট করেই নায়ক মারাত্মক ওজনের নায়িকাকে কোলে তুলে ফেলে। একটা তরুণ খুব সহজেই বিপুল ওজনের তরুণীকে কোলে করে ওপরে তুলে রাখতে পারে কিন্তু এর চেয়ে অনেক কম ওজনের বালতি কিংবা গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হয়। কিন্তু এর কারন কী? ওজনদার তরুণীকে তুলে ধরে রাখার ক্ষেত্রে কি প্রচন্ড জৈবিক শক্তি কাজ করে? না হলে পেয়ারা পারার জন্য কেন সামান্য আকশি কিংবা কোটার বদলে আস্ত তরুণীটাকেই কোলে নিয়ে নেয়? আকশির কি অভাব পরেছে? ব্যাপারটা একটু তলিয়ে দেখা যাক। 

৫০-৬০ কেজি ওজনের তরুণী যখন লাফ দিয়ে কোলে ওঠে যায় তখন তরুণীর সারা শরীরের ভর তরুণের সারা শরীরে ছড়িয়ে পরে। ঘাড় থেকে শুরু করে কাধ, হাঁটু, হাত সবখানেই ওজন সমান ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু সারা শরীরেই ওজন ছড়িয়ে পড়ে তাই ভরকেন্দ্রের অবস্থানের তেমন একটা পরিবর্তন হয় না। যদি সামান্য একটু হয়েও থাকে তা শরীরকে একটু বাকা করে বা এদিক সেদিক করে ভরকেন্দ্র দু-পায়ের মাঝ বরাবর নিয়ে আসা যায়। ভরকেন্দ্র যখন দু-পায়ের মাঝ বরাবর তখন আর ভয় কিসের? ফলে সাধারণ সামর্থ্যবান যে কোনো ছেলেই একটা তরুণীকে তুলে হাটতে-দৌড়াতে পারে!

কিন্তু অপর পক্ষে একটা সাধারণ গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে হাটতে বা হাতল বিহীন বালতিতে পানি ভর্তি করে হাটতে বারোটা বেজে যায়। এমন হবার কারন কী? এগুলো তো তরুণী থেকে অনেক হালকা পাতলা। তবে কি এদের মধ্যে নারী সুলভ আনন্দ পাওয়া যায় না বলে? না। সিলিন্ডার এবং বালতি অপরিবর্তনীয় আকৃতির জিনিস। ইচ্ছে করলেই পরিবর্তন করা যায় না বা পরিবর্তিত হয় না। সাধারনত একটা সিলিন্ডার তুলে নিতে গেলে একটু কুজো হয়ে তুলতে হয়। এই কুজো হবার ফলে দু-পায়ের মাঝ বরাবর থেকে শরীরের ভরকেন্দ্র যায় সরে। আর ভরকেন্দ্র দু-পায়ের মাঝ বরাবর থেকে সরে গেলেই হাঁটাচলাতে ঘটে বিপওি। অর্থাৎ এই দুটো ব্যাপারে কোনো জৈবিক শক্তি নয় সত্যিকার অর্থে এর পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারন। তো আর যাই হোক তরুণদের দোষ দেয়া যায় না! যদি দেয়া যায়ও তবে সেই দোষ চাপানোটা অবশ্যই অবৈজ্ঞানিক। যুক্তি তো মনে হয় সে কথাই বলে! :-) এজন্যই হয়তোবা জন্য প্রথম আলোর ফান ম্যাগাজিন রস আলোতে এই ব্যাপারটার জন্য ব্যাঙ্গ করে বলা হয়েছে "যত দোষ পদার্থবিদ্যার"!


সুত্রঃ- জিরো টু ইনফিনিটির


0 comments:

Post a Comment

Blogger templates

 
Toggle Footer