Breaking News
Loading...
Wednesday 27 November 2013

64-bit এবং 32-bit কম্পিউটারের এর কিছু কথা ও এর মধ্যে পার্থক্য !

17:31
খুবই সাধারণ ভাষায় , প্রসেসর হলো একটি কন্ট্রোল ইউনিট যার দ্বারা পুরো কম্পিউটার পরিচালিত হয়। এ কথা আমাদের কারো-ই অজানা নয়। আর বর্তমানে দুই শ্রেণির প্রোসেসর বাজারে সুলভ্য। একটি হলো ৩২ বিট এবং অন্যটি ৬৪ বিট। মূলত প্রসেসরের ধরণ শুধুমাত্র একটি কম্পিউটারের সামগ্রিক কর্মক্ষমতায় প্রভাবিত করেনি বরং সফটওয়্যার ব্যবহারের উপরেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। আজ আমরা এই দুই শ্রেণীর প্রোসেসরের মধ্যে তুলনা করবো। তবে তার পূর্বে ৩২ বিট এবং ৬৪ বিট সম্পর্কে আসুন প্রাথমিক কিছু ধারণা নেই।

৩২ বিট প্রসেসর :

এ শ্রেণীর প্রোসেসরগুলো ১৯৯০ সালের কম্পিউটারগুলোতে প্রধান প্রোসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হত। সে সময় একমাত্র প্রসেসর হিসেবে Intel Pentium ই বাজার দখল করে রেখেছিল। পরবর্তীতে কালক্রমে ৩২ বিটের AMD প্রোসেসের আগমন ঘটে।মূলত ৩২ বিট প্রসেসর-এর অপারেটিং সিস্টেম এবং সফটওয়্যার গুলো ৩২ বিট নির্ভর হয়ে থাকে। যেমন: উইন্ডো ৯৫, ৯৮ এবং এক্সপি হলো ৩২ বিট অপারেটিং সিস্টেম, যা সচারচর ৩২ বিট প্রোসেসরগুলোতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

৬৪ বিট প্রসেসর :

৬৪ বিট সম্পন্ন কম্পিউটার সকলের হাতে পৌছায় ২০০০ সালের শুরুর দিকে। যদিও ১৯৬১ সালের শুরুর দিকে যখন IBM তাদের IBM 7030 Stretch সুপার কম্পিউটার তৈরীর সময় এই প্রসেসর এর পরিকল্পনা গ্রহণ করে। যার ফলে পরবর্তীতে Microsoft তাদের সর্বাধিক জনপ্রিয় Windows XP অপারেটিং সিস্টেম এর 64-bit ভার্সন বাজারে প্রকাশিত করে যাতে করে 64-bit সম্পন্ন প্রসেসরগুলোতে তা ব্যবহার করা যায়। আর তার পর থেকেই Windows Vista, Windows 7 এবং Windows 8 এর 64-bit ভার্সনগুলো একের-পর এক বাজারে আসতে শুরু করে।শুধু তাই নয়, এছাড়াও অন্যান্য সফটওয়্যারগুলোও 64-bit কম্পিউটারের উপযোগী করে তৈরী করা হয়, যাতে করে ৬৪ বিট কম্পিউটারেও তা সক্ষমভাবে কাজ করতে পারে।


৩২ বিট প্রসেসর এবং ৬৪ বিট কম্পিউটারের মধ্যে তুলনা :


32-bit প্রসেসর এবং 64-bit প্রসেসর এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হলো এদের কর্মদক্ষতা।  মূলত ৬৪ বিট প্রসেসর ৩২ বিট এর তুলনায় অধিক দ্রুত অধিক কাজ করতে পারে। কালক্রমে বাসা-বাড়ির জন্য ৬৪ বিট প্রসেসর এর dual core, quad core এবং



six core জাতীয় কয়েকটি ভার্সন  রয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে খুব শিঘ্রই eight core এর সর্বশেষ ভার্সন কস্পিউটার বাজারে যুক্ত হবে। এ জাতীয় প্রসেসরে একাধিক core দ্বারা বোঝানো হয় যে, এই প্রসেসরগুলোর processing power অনেকাংশেই পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণ যা কম্পিউটারের প্রত্যেকটি কমান্ডগুলো সুষ্ঠুতার সাথে অতিদ্রুত সম্পন্ন করতে সক্ষম। তাই ৬৪ বিট প্রসেসর এর পরিবেশ অনুযায়ী ডেভেলপকৃত সফটওয়্যারগুলো ৩২ বিট এর তুলনায় অধিক দ্রুততার সাথে গাণিতিক সমস্যা ও যুক্তির সমাধান করতে পারে। আর এটাই সবচেয়ে বড় কথা। তবে হ্যা, এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, ৬৪ বিট কম্পিউটারগুলোতেও ৩২ বিটের সফটওয়্যার গুলো সাপোর্ট করে। তাই যারা ৬৪ বিটের কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাদের এ নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই।


তাছাড়া এদের আরেকটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হলো, কম্পিউার মেমোরির ধারণ ক্ষমতা। যেখানে ৩২ বিট কম্পিউটার সর্বোচ্চ ৩-৪ গিগাবাইটের RAM ব্যবহার করার সুযোগ পায়; ঠিক সেখানেই ৬৪ বিট কম্পিউটারের জন্য সর্বনিম্ন RAM প্রয়োজন হয় ৪ গিগাবাইট।


অর্থাৎ ৪ জিবি RAM ছাড়া একটি ৬৪ বিটের কম্পিউটার কোনভাবেই চলতে পারে না। যার ফলে, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন অথবা ভিডিও এডিটিং জাতীয় কাজের ক্ষেত্রে ৬৪ বিটের কম্পিউটারগুলো অধিক ব্যবহৃত হয়। কেননা এটি  ছবি, ড্রইং এবং ভিডিও ফুটেজগুলো অতিদ্রুত Render করতে পারে। এছাড়াও গেমস এর উন্নত গ্রাফিক্স এর জন্য ৬৪ বিট কম্পিউটারগুলোতে সাধারণভাবে এক্সট্রা গ্রাফিক্স কার্ড সংযোজনের প্রয়োজন হয় না, তবে প্রফেশনাল ভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে এ এক্সট্রা গ্রাফিক্স কার্ড সংযোজনও করা হয়ে থাকে।

0 comments:

Post a Comment

Blogger templates

 
Toggle Footer